ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৫, ২০২২ ৮:০৪ এএম

অনেকেই জ্বরঠোসার সমস্যায় প্রায়ই ভোগেন। জ্বর হলেই এ সমস্যা দেখা দেয় অনেকেরই ঠোঁটের কোণে। এক্ষেত্রে ঠোঁটের আশপাশে ছোট ছোট একগুচ্ছ ফুসকুঁড়ি দেখা দেয়।

যা প্রচণ্ড ব্যথা ও চুলকানির সৃষ্টি করে। আক্রান্ত স্থান লাল হয়ে ফুলে যায়। জ্বরঠোসা হলে মুখ খুলে খাবার খেতে এমনকি কথা বলা বা হাসতে গেলেও কষ্ট হয়।

জ্বরঠোসাকে চিকিৎসার পরিভাষায় ফিভার ব্লিস্টার বলা হয়। রাতে জ্বর আসলেই যে জ্বরঠোসা হয়, তা কিন্তু নয়। এক্ষেত্রে চিকিৎসকদের মত ভিন্ন। জ্বরঠোসা হওয়ার আরও কারণ আছে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, ফিভার ব্লিস্টার হওয়ার কারণ হলো এইচএসভি ১ সংক্রমণ। এই সংক্রমণের ফলে জ্বর আসে। আবার জ্বরের কারণেও ফিভার ব্লিস্টার হতে পারে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল হলে এই সমস্যা বেশি দেখা দেয়। এছাড়া ভিটামিন সি ও ডি’র ঘাটতি হলেও জ্বরঠোসা হতে পারে।

জানলে অবাক হবেন, প্রায় ৮০ শতাংশ মানুষই এইচএসভি ১ এ আক্রান্ত হন। যা সুপ্ত অবস্থায় থাকে। প্রথমবার হওয়া ফিভার ব্লিস্টার সেরে যাওয়ার পর এইচএসভি ১ স্নায়ুকোষে লুকিয়ে থাকে। পরবর্তীতে আবারও এটি প্রকাশ পায়।

জ্বরঠোসার লক্ষণ কী কী?

১. ঠোঁটের কোণে, বর্ডারে বা বর্ডারের আশেপাশে গুচ্ছ-বদ্ধ ফুসকুড়ি
২. জ্বর
৩. ব্যথা
৪. বমিভাব কিংবা বমি
৫. মাথাব্যথা
৬. খেতে অসুবিধা
৭. ঠোঁটে জ্বালা করা
৮. ঠোঁট বারবার শুকনো হয়ে যাওয়া ইত্যাদি।

ঘরোয়া উপায়ে যেভাবে জ্বরঠোসা সারাবেন

বরফ

জ্বরঠোসার স্থানে বরফ ব্যবহার করলে ব্যথা কমে। এজন্য একটি কাপড়ে বরফ মুড়ে ক্ষত স্থানে ৫ মিনিট ধরে রাখুন। তবে ১৫ মিনিটের বেশি নয়। ত্বকে সরাসরি বরফ লাগাবেন না, তাহলে ক্ষত আরও বাড়তে পারে। দৈনিক ৩ বার করে অন্তত ৫দিন ব্যবহার করুন আইসপ্যাক

জিংক থেরাপি

২০০১ সালের এক গবেষণায় দেখা গেছে, জিঙ্ক অক্সাইড ও গ্লাইসিনযুক্ত একটি ক্রিম প্লেসবো ক্রিমের তুলনায় ক্ষত সারাতে সাহায্য করে।

সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে, হারপিস সিমপ্লেক্স ভাইরাসকে কোষে প্রবেশ করতে বাঁধা দিতে জিঙ্ক অক্সাইডের ভূমিকা আছে।

এজন্য অবম্যই জিঙ্ক সালফেট সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ করতে হবে। সাময়িক চিকিত্সার জন্য, আপনি দিনে ৪ বার করে ঘা না শুকানো পর্যন্ত জিঙ্ক অক্সাইড ক্রিম প্রয়োগ করতে পারেন।

অরেগানো অয়েল

হারপিসসহ বিভিন্ন ভাইরাসকে বাধা দিতে প্রাকৃতিক এই তেল বিশেষ কার্যকরী। এক্ষেত্রে আক্রান্ত স্থানে পাতলা করে তেল প্রয়োগ করুন। একটি তুলোর বলে অরেগানো তেল দিয়ে সারাদিন কয়েকবার আক্রান্ত স্থানে লাগান।

চা গাছের তেল

টি ট্রি অয়েলও বিভিন্ন প্রদাহ সারাতে কাজ করে। একটি তুলোর বলে চা গাছের তেল নিয়ে প্রতিদিন কয়েকবার জ্বরঠোসায় ব্যবহার করুন। দেখবেন দ্রুত সেরে যাবে ঘা।

আপেল সিডার ভিনেগার

সামান্য আপেল সিডার ভিনেগারের সঙ্গে পানি মিশিয়ে তুলোর বল ভিজিয়ে আক্রান্ত স্থানে কয়েক মিনিটের জন্য ধরে রাখুন।

পাঠকের মতামত

বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহ উপলক্ষে উখিয়ায় র‍্যালী ও আলোচনা সভা

           নিজস্ব প্রতিবেদক:: কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স স্থানীয় সহযোগী  সংস্থা সোসাইটি ফর হেলথ এক্সটেনশন ...

উখিয়ায় জলাতঙ্ক প্রতিষেধক টিকাদান ২৯ অক্টোবর শুরু হবে

         উখিয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি : মুজিববর্ষে স্বাস্থ্যখাত এগিয়ে যাবে অনেক ধাপ স্লোগানকে সামনে রেখে কক্সবাজারের উখিয়ায় ...

৫ ইউপি চেয়ারম্যান অনুপস্থিত উখিয়ায় ঘূর্ণিঝড় হামুন মোকাবেলায় প্রস্তুতি সভা

         শহিদুল ইসলাম:: বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় “হামুন’ এর বিষয়ক কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলা দুর্যোগ ব্যবস্হপনা কমিটির প্রস্তুতিমূলক ...

উখিয়ায় প্রতিবন্ধী রফিকের বাপ-দাদার দিন্যা জমি জবর দখল করে নিল ভুমিদস্যু গোলাম আকবর

           গফুর মিয়া চৌধুরী:: কক্সবাজারের উখিয়ায় প্রতিবন্ধী রফিকুল ইসলামের বাপ-দাদার দিন্যা জমি জবর দখল করে ...

উখিয়া হাসপাতালে এলার্জি রোগীর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে: টিকেট কাউন্টারে নারী-পুরুষের দীর্ঘ লাইন

           গফুর মিয়া চৌধুরী, উখিয়া:: কক্সবাজারের উখিয়া স্বাস্হ্য কমপ্লেক্সে বিভিন্ন রোগীদের উপচে পড়া ভীড় দেখা ...

কাপ্তাই ৪১ বিজিবির ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প ও খাদ্য সামগ্রী বিতরণ

         কাপ্তাই (রাঙামাটি) প্রতিনিধি:: জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮ তম শাহাদাত বার্ষিকী এবং জাতীয় ...